খনার বচন , খনার বচন সমগ্র ঃ
২১। সেচ দিয়ে করে চাষ, তার সবজি বার মাস।
২২। তিনশ ষাট ঝাড় কলা রুয়ে
থাকগা চাষি মাচায় শুয়ে,
তিন হাত অন্তর এক হাত খাই
কলা পুতগে চাষা ভাই।
২৩। বৎসরের প্রথম ঈশানে বয়, সে বৎসর বর্ষা হবে খনা কয়।
২৪। পান লাগালে শ্রাবণে, খেয়ে না কুলায় রাবণে।
২৫। ফাল্গুনে আগুন চৈতে মাটি, বাঁশ বলে শীঘ্র উঠি।
২৬। ভাদ্র আশ্বিনে বহে ঈশান, কাঁধে কোদালে নাচে কৃষাণ।
২৭। বৈশাখের প্রথম জলে, আশুধান দ্বিগুণ ফলে।
২৮। তপ্ত অম্ল ঠাণ্ডা দুধ যে খায় সে নির্বোধ।
২৯। বাড়ীর কাছে ধান পা,
যার মার আগে ছা।
চিনিস বা না চিনিস,
ঘুঁজি দেখে কিনিস।
৩০। শীষ দেখে বিশ দিন,
কাটতে কাটতে দশদিন।
ওরে বেটা চাষার পো,
ক্ষেতে ক্ষেতে শালী রো।
৩১। ডাক দিয়ে বলে মিহিরের স্ত্রী, শোন পতির পিতা,
ভাদ্র মাসে জলের মধ্যে নড়েন বসুমাতা।
রাজ্য নাশে, গো নাশে, হয় অগাধ বান,
হাতে কাটা গৃহী ফেরে কিনতে না পান ধান।
৩২। উনো বর্ষায় দুনো শীত।
৩৩। শুনরে বাপু চাষার বেটা
মাটির মধ্যে বেলে যেটা
তাতে যদি বুনিস পটল
তাতে তোর আশার সফল।
৩৫। তিন নাড়ায় সুপারী সোনা,
তিন নাড়ায় নারকেল টেনা,
তিন নাড়ায় শ্রীফল বেল,
তিন নাড়ায় গেরস্থ গেল।
৩৬। চৈত্রেতে থর থর
বৈশাখেতে ঝড় পাথর
জ্যৈষ্ঠতে তারা ফুটে
তবে জানবে বর্ষা বটে।
৩৭। ফাল্গুনে আট, চৈতের আট, সেই তিল দায়ে কাট।
৩৮। দিনে রোদ রাতে জল; দিন দিন বাড়ে ধানের বল
৩৯। আউশের ভুই বেলে, পাটের ভুঁই আটালে।
৪০। অঙ্কস্য বামা গতি।